কক্সবাজারের উখিয়ায় আগামী ৪ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষনার পর থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে যেতে শুরু করেন। বিধিবিধান থাকলেও উপজেলা নির্বাচন অফিস সহকারী তা অমান্য করে ফরমের টাকা বাবদ Ñ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিকট থেকে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা নিচ্ছে। সাধারন সদস্যদের নিকট থেকে গ্রহন করছেন দেড় হাজার টাকা। এ ছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা আসনের নারী প্রার্থীদের নিকট থেকে নেওয়া হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা। একটি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ফরম বাতিল হওয়ার হুমকি দেখিয়ে সে নিজেই পূরণ করে নিচ্ছে ১০ হাজার টাকা করে। মেম্বার প্রার্থীদের নিকট থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। আর যারা নিজে ফরম পূরণ করেছেন ওই ফরম নিয়ে তা ক্রুটি মুক্ত কিনা যাচাই বাচাই করতে চাইলে হাকাচ্ছে ২ হাজার টাকা। অথচ ফরম বিতরনে কোন টাকা নেওয়ার বিধান নেই। সে দীর্ঘ দিন ধরে উখিয়াতে চাকুরি করার সুযোগে মানুষের ভাব বুঝে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক ফরম বিক্রয় করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার দাপটের কারনে অসহায় নীরহ প্রার্থীরা তার কথামত ভোটে জিতার জন্য তার হস্তে ওই বিতরনকৃত বেশি ভাগ ফরম তাকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নিষেধ করার পরও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ভাগ ভঙ্গি দেখলে মনে হয় সে একজন রির্টানিং অফিসারের চেয়ে ক্ষমতাধর ব্যাক্তি। মূলত সে একজন অফিস সহকারী। হলদিয়াপালং ও জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারী এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ সরকারী বিধি নিষেধ অমান্য করে ফরম পূরণ ও ফরম বিতরনে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অফিস সহকারী মাহবুবুর রহমান বলেন, কেউ খুশি মনে টাকা দিলে নিতে বাধা কোথাই। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, ফরম বিতরনে কোন টাকা নেওয়ার বিধান নেই। এ ব্যাপারে তাকে নিষেধ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: